চীনের উন্নয়ন আধুনিক সময়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে, এ মন্তব্য করেন, নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেনিফার মেরি শিপলি নি রবসন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণে আবারও একটি স্পষ্ট সংকেত দেওয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে: চীনকে বিদেশীদের জন্য আরও উন্মুক্ত করা হবে। এ সংকেত নিশ্চিতভাবে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে আরও আকৃষ্ট করবে এবং উদ্যোক্তাদের চীনা বাজারের প্রতি আস্থা আরও বাড়াবে। এটি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ নির্মাণে অংশগ্রহণকারী প্রতিবেশী দেশের প্রত্যাশাও পূর্ণ করবে।
রবসন বলেন, সভ্যতাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন উদ্যোগ সামনে এনেছে এবং নিজের সফল অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছে। উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাগাভাগির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সকল মহাদেশকে সংযুক্ত করার এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রেসিডেন্ট সি’র অন্যতম মহান অবদান।
তিনি আরও বলেন, চীন টানা বহু বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং আমদানির বৃহত্তম উৎস। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘ব্যালাস্টস্টোন’ ও ‘চালক’ হয়ে উঠেছে। চীন নিউজিল্যান্ডের জন্য ভিসা-মুক্ত নীতি চালু করেছে, যা থেকে অনেকে উপকৃত হতে পারে।
উল্লেখ্য, শিপলি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে তিনি প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তার মেয়াদকালে তিনি সক্রিয়ভাবে চীন-নিউজিল্যান্ড সম্পর্কের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনের যোগদানকে সমর্থন করেছেন। ১৯৯৯ সালে চীন ও নিউজিল্যান্ড একটি দ্বিপাক্ষিক অবাধ বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক মূল্যায়ন ও গবেষণা শুরু করতে সম্মত হয়, যা একটি উন্নত দেশের সাথে চীনের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সূচনা করে। গত ৩০ বছরে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী শতাধিক বার চীন সফর করেন। গত মার্চে তিনি ২০২৫ সালের বোয়াও এশিয়া ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে আবার চীনে আসেন।
সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।