NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

একটি বর্ণিল 'বই সন্ধ্যা'---শামীম আল আমিন


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০৮:৪২ এএম

একটি বর্ণিল 'বই সন্ধ্যা'---শামীম আল আমিন

আমার প্রিয় গল্পগুলোকে নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। নাম দেয়া হয়েছে 'নির্বাচিত গল্প তোমার অসীমে'। কবিগুরুর কাছ থেকে ধার করে দেয়া নামের বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ৩০টি গল্পের বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ। আর ভূমিকা লিখে দিয়েছেন প্রিয় শিক্ষক ও খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।বইটি নিয়ে দুনিয়া জোড়া সাড়া পরে গেছে, বিষয়টি তেমন নয়। তবে আমার প্রিয় মানুষ এবং একান্ত নিজের পাঠকদের কাছে বইটি সমাদৃত হচ্ছে। আর নিউইয়র্কে আমার বন্ধু ও স্বজনেরা মিলে বইটিকে নিয়ে একটি প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে। জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সন্ধ্যায় হয়ে গেলো বর্ণিল এই 'বই সন্ধ্যা'। ডায়াসপোরা নামের সদ্য আত্মপ্রকাশ করা অসাধারণ একটি প্রতিষ্ঠান এই প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক পূরবী বসু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম, সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং অনিন্দ্য প্রকাশের প্রকাশত আফজাল হোসেন। বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী শিরীন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. প্রতাপ দাস ও ধন্যবাদ জানান নাট্যশিল্পী এজাজ আলম। বিশিষ্টজনদের মধ্যে শিল্পী বাশিরুল হক, ভাস্কর আকতার আহমেদ রাশা এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন প্রতিক্রিয়া জানান।তবে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বইটির নাম গল্প 'তোমার অসীমে' পাঠ করার মধ্য দিয়ে। বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী এ শরিফ হোসেন এবং আবৃত্তি শিল্পী শুক্লা রায় গল্পটি পাঠ করেন। এসময় রবীন্দ্রনাথের 'তোমার অসীমে' গানটি গেয়ে শোনান সুপ্রিয়া চৌধুরী। তিন শিল্পীর অদ্ভূত মনমুগ্ধকর পরিবেশনায় ভীন্ন মাত্রা যুক্ত করে ভায়োলিনের বাদন ও শিল্পী তাজুল ইমামের পেইন্টিং। গল্পটির পরিবেশনার ভীন্নতা মানুষের অন্তরকে ছুঁয়ে যায়।অনুষ্ঠানে চমৎকার একটি প্রেমের কবিতা আবৃত্তি করেন গোপন সাহা। আর শেষ পর্বে প্রেমের গান দিয়ে সবার মন ভরিয়েছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। কিবোর্ডে রিপন মিয়া এবং তবলায় স্বপন দত্তের পরিবেশনা ছিল চমৎকার।বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা দূর্যোগে রূপ নিয়েছিল। দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে, নিউইয়র্কের জ্যাম ঠেলে যারা সমবেত হয়েছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তবে সমবেত সব সুধীর মধ্যে অন্যরকম একটি তৃপ্তিবোধ অনুভব করলাম। সীমার মাঝে এ এক অসীম অনুভূতি। সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ আমি ভাবছি "ভালোবাসার ঋণ কীভাবে শোধ করা যায়? নাকি সম্ভব?"