খবর প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২৫, ১২:২৫ এএম
উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ২২০ বছরের প্রাচীন সেই বিশাল বিস্ময়কর গাছটিতে ঝুলছে থোকা থোকা আম। ৩ বিঘা জমিজুড়ে বিস্তৃত এ গাছটি থেকে এবারও ৪০০ মণ আমের আশা করছেন এর মালিক সাইদুর মোল্লা।৩ বিঘা জমিজুড়ে ২২০ বছরের প্রাচীন গাছ, এবারও ৪০০ মণ আমের আশাসরেজমিনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা গ্রাম হরিণামারীর সুবিশাল ওই সূর্যপুরী আমগাছ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও মুকুলে ছেয়ে আছে গাছটি। এখন গাছজুড়ে ঝুলছে থোকা থোকা আম। ফলবতী গাছটি দেখতে ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজন।
দর্শনার্থীরা জানান, একটি আম গাছ যে এতো বড় হয়, তা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। তবে গাছটি ঘিরে পুরো এলাকাটির আরও সৌন্দর্য বর্ধন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।গাছের মালিক সাইদুর মোল্লা জানান, ফলন্ত গাছটির পর্যাপ্ত পরিচর্যা চলছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে। গুঁটির যে অবস্থা, তাতে এবার ৪০০ মণের মতো আমের ফলন হতে পারে। প্রতিদিন গাছটি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। এতে এটি পরিচিতি পেয়েছে পর্যটন স্থান হিসেবে। এখন প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, গাছটি ঘিরে এলাকাটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এর সৌন্দর্য বর্ধন করা যায়, সে বিষয়ে প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং আশা করি, দ্রুতই তা বাস্তবায়ন হবে।গ্রামটিতে তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও শুধুমাত্র প্রাচীন এ আমগাছটির জন্য প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করেন এখানে।