NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, জুন ৪, ২০২৫ | ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর গভর্নর পদে প্রথম বাংলাদেশি আসেফ বারী টুটুলের ঐতিহাসিক বিজয় ও সংবর্ধনা অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক ৩৪তম বাংলা বইমেলা সমাপ্ত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আনন্দঘন পরিবেশে কুইন্সে পালিত হলো ইউ এস এ ৯৭-৯৯ এর পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন, জানাল যুক্তরাষ্ট্র 'To achieve great things, we must dream big and take action to pursue them' চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা ৩৪তম বইমেলা শুরু ৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস
Logo
logo

চীন-মধ্য এশীয় অবদান রাখতে চাই : সিআরআই সম্পাদকীয়


আকাশ: প্রকাশিত:  ০৩ জুন, ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

চীন-মধ্য এশীয় অবদান রাখতে চাই : সিআরআই সম্পাদকীয়

 


১৯ মে প্রাচীন রেশমপথের পূর্বাঞ্চলীয় সূচনাবিন্দু চীনের সায়ানসি প্রদেশের সি’আন শহরে প্রথমবার ‘চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষসম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এতে সভাপতিত্ব করেছেন এবং মূল বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সমন্বিত এবং ভালোভাবে সংযুক্ত মধ্য এশিয়া দরকার। পাশাপাশি, চীন-মধ্য এশিয়ার অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণ করা এবং দু’পক্ষের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন। মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এর উচ্চ প্রশংসা করেছেন এবং উষ্ণ সাড়া দিয়েছেন। সিআরআই সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

চীন ও মধ্য এশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩১ বছরে প্রথমবার চীন ও মধ্য এশিয়া দেশের নেতারা সরাসরি সম্মেলন করেন। এটি চীন-মধ্য এশিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার তিন বছরে প্রথম শীর্ষসম্মেলন। বর্তমান বিশ্বে পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় চীন ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে। সবপক্ষ জাতিগত পুনরুজ্জীবনের পথে রয়েছে। তাই তাদের সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে“নতুন যুগে, বিভিন্ন দেশের মৌলিক গণকল্যাণ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিবেচনা করা আমাদের ঐতিহাসিক বাছাই।”

নতুন যুগে চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণের পদ্ধতি হলো, ‘একে অপরকে সাহায্য করা, অভিন্ন উন্নয়ন, ব্যাপক নিরাপত্তা ও প্রজন্মের পর প্রজন্মের বন্ধুত্ব’। দু’পক্ষের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার নির্মাণ জোরদার করা, আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো, সংযোগ জোরদার করা, জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানো, সবুজ উদ্ভাবন এগিয়ে নেওয়া, সার্বিক উন্নয়ন করা এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষা করা।’ আরো ঘনিষ্ঠ চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণের জন্য এসব চীনা প্রস্তাব দিক-নির্দেশনা দিয়েছে।

এর মধ্যে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ চীন-মধ্য এশিয়ার সহযোগিতাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে নিয়েছে। মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশ জানায়, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ নিজ দেশের উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে বেশি সংযুক্ত করা হবে। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসেম তোকায়েভ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে আমরা অনেক লাভবান হয়েছি। আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো গভীর করব।’
এবারের শীর্ষসম্মেলন চীন-মধ্য এশিয়া সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ঐক্য থাকলে ছয় দেশের সহযোগিতা ও উভয়ের জয় বাস্তবায়িত হবে এবং এ অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য ‘চীন-মধ্য এশিয়া অবদান’ রাখতে পারবে।
সূত্র: আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।