NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

সিএমজি’র সঙ্গে কঙ্গো-কিনশাসা’র প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার


রুবি,বেইজিং: প্রকাশিত:  ২২ মে, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম

সিএমজি’র সঙ্গে কঙ্গো-কিনশাসা’র প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার

 

 



কঙ্গো-কিনশাসা’র প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স এনটোইনে তশিসেকেদি মশিলোম্বো সম্প্রতি চীন সফর করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম বেইজিং সফর। 

সফরকালে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্ককে সহযোগিতা ও যৌথ কল্যাণের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার ঘোষণা করেন। 
প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স বেইজিংয়ে চায়না মিডিয়া গ্রুপকে একটি একান্ত সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। 

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এবারের সফরের আগে তিনি কখনও চীনে আসেন নি। তবে ছোট বেলা থেকে তিনি চীনকে জানেন। বর্তমানে চীন ও কঙ্গোর অংশীদারিত্বের সম্পর্ক ও সহযোগিতামূলক মৈত্রী ৫০ বছরের বেশি সময় পার করেছে। 

প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স বলেন, চীন একটি সুন্দর দেশ। চীনের আধুনিকায়নের বাস্তবায়নকে স্বাগত জানান তিনি। বিংশ শতাব্দীর ৬০-এর দশকে চীন ও কঙ্গো একই মানের অর্থনৈতিক পর্যায়ে ছিল। তবে বর্তমানে চীনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এটি কঙ্গোর মতো অনেক দেশের জন্য শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত।

চীনের ভাবমূর্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চীনের জনসংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। এত মানুষের নিরাপত্তা, খাদ্য, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই চীনের সমালোচনার আগে তার বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে হবে। আমি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করি। আমি যে চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করেছি, সেগুলোর মোকাবিলায় চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।’

প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স বলেন, ‘আমি ইচ্ছেমতো অন্যদের সমালোচনা করতে চাই না। আমি মনে করি, চীনের সব চেষ্টা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে কঙ্গো। তাই সবচেয়ে অপ্রীতিকর ইস্যুসহ বন্ধুদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা যায়। নিন্দা ও বিতাড়ন নয়, চীনের অতীত ও বর্তমানকে সম্মান করি আমি। আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে চীনকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
দু’দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কঙ্গো-চীন মৈত্রী ৫০ বছর ধরে অটুট রয়েছে। দু’দেশ তাদের পারস্পরিক কল্যাণসহ নানা বিষয়ে মনোযোগী। বর্তমানে উভয়ে বিশ্বায়নের যুগে রয়েছে। তাই পারস্পরিক কল্যাণ বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। কঙ্গো-চীন অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নত করা প্রয়োজন। 

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার সম্মুখীন। এটি বৈশ্বিক সংকট। কঙ্গো নিজেকে এ সমস্যা সমাধানের দক্ষ দেশ হিসেবে গণ্য করে। কারণ তার আছে বিশাল বনজ সম্পদ। যা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সহায়ক। অন্য দিকে চীনে আছে পেশাদার জ্ঞান ও সম্পদ। তাই দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৈশ্বিক এ সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। সূত্র : চায়না মিডিয়া গ্রুপ।