NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ কী তারেক ও জামাতের সহিংসতা থামবে?: সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ মে, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ কী তারেক ও জামাতের সহিংসতা থামবে?: সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন

নিউ ইয়র্ক: বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং ইসলামিক সন্ত্রাসীদের পক্ষে ওকালতি বন্ধ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশের পশ্চিমা অংশীদারদেরও নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এর নেতা তারেক রহমান ( যে ব্যক্তি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে) যেন কোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারের পৃষ্ঠপোষকতা না পায়।

বাংলাদেশে সহিংসতা, গণতন্ত্র এবং মার্কিন নীতি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তারা এমন অভিমত পোষণ করেছেন। কিছু মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে গণতন্ত্রীকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এবং আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থানের উদাহরণ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনে ডানপন্থী ইসলামী চরমপন্থীরা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান বা ইরাকে পরিণত হতে পারে !

৮ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নিউজার্সির প্লেইন্সবরোর কাউন্সিলম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবির, আন্তর্জাতিক পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ সেথ ওল্ডমিক্সন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সন্ত্রাস নির্মূল ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন এবং অধ্যাপক এবিএম নাসির সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং সেই সংগঠনগুলো পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে শাসন করতে চায়। ২০০১-২০০৬ সালে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামের নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন যে, যারা আল্লাহর সংবিধানে বিশ্বাস করে তারা কীভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর গণতন্ত্র চর্চা করবে?

সেথ ওল্ডমিক্সন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ মেটাতে কিছু করবে না; এটা বাংলাদেশীদের কাজ। কিন্তু ঘটনার আগে কোন ধরনের সহিংসতা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তা সংঘটিত হওয়ার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি পশ্চিমা পরাশক্তিকে বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর ওকালতি করার জন্যও সতর্ক করেছেন। তিনি পারস্পরিক ও সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সমাজে বাংলাদেশিদের অসামান্য সাফল্য গাথা তুলে ধরতে বলেন।

ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী ও বাংলাদেশে একটি বেপরোয়া নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য এবং বাংলাদেশের বিষয়টিকে ব্যতিক্রমের সাথে দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও জানতে চেয়েছেন যে, তাদের পদক্ষেপ তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও সন্ত্রাস বন্ধ করবে কিনা।

ড. নাসির সহিংসতার ঐতিহাসিক কালপঞ্জি উপস্থাপন করেন, যেটি ১৯৭১ সালের গণহত্যার সাথে জড়িত। যারা গণহত্যা করেছিল তাদেরকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষমা করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। এভাবে জিয়াই প্রথম সহিংসতাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈধতা দেন। তারা আজও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরও নমনীয় মার্কিন নীতির উপর জোর দেন।