NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

“জোছনা করেছে আড়ি”- নান্দনিক উপস্থাপনায় শিল্পী ডালিয়া নওশিন


মশিউর আনন্দ- ঢাকা প্রতিনিধি: প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

“জোছনা করেছে আড়ি”- নান্দনিক  উপস্থাপনায় শিল্পী ডালিয়া নওশিন

 

শান্তি আনে সুরের মূর্ছনা। আর সেই সুর যদি হয় প্রজন্ম পরম্পরায় শেকড়ের বাণী ও ছন্দে গাঁথা, সেটাই হয়ে যায় চিরন্তন। ’বেগম আখতারের পরিবেশনায়, “জোছনা করেছে আড়ি”- এই গানটি নতুন নান্দনিক আয়োজনে উপস্থাপন করেছেন শিল্পী ডালিয়া নওশিন। শিগগিরই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হবে।

ফ্ল্যামেনকো-ক্লাসিক্যাল সংগীত নির্ভর গানটিতে ফ্ল্যামেনকো গিটার বাজিয়েছেন বাবনা করিম, পিয়ানো বাজিয়েছেন রোমেল আলী এবং তবলা বাজিয়েছেন ভারতের অভিনব শর্মা। মিউজিক ভিডিওর কোরিওগ্রাফি এবং কস্টিউম ডিজাইনে ছিলেন শারমিন নাহার লাকী। গানটির মিক্সিং এবং মাস্টারিং করেছেন ফুয়াদ ইবনে রাব্বি । ডালিয়া নওশিন বলেন, 'ক্লাসিক্যাল ঘরানার এই গানটি গেয়েছিলেন কিংবদন্তী প্রয়াত শিল্পী, মল্লিকা-এ- গাজল বেগম আখতার।


মার্গীয়-শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি ডালিয়া নজরুল সংগীত ও পঞ্চকবির গানও গেয়ে থাকেন। নজরুল সংগীত শিল্পী হিসাবেই তিনি দুই বাংলায় পরিচিত।

অত্যন্ত জনপ্রিয় ৫০ দশকের এই ঠুমড়ীটি এমন কোনো সংগীত অনুরাগী নেই যে এর সুরের জালে মুগ্ধ হয়ে গুনগুন করে ওঠেন নাই। আর প্রায় প্রত্যেক সংগীত শিল্পীই এই ঠুমড়ীটি একবার না একবার নিজ গলায় গাইতে চেষ্টা করেছেন।

শিল্পী ডালিয়া নওশীন বলেন,“গান নিয়ে যখন কথা উঠলো, তখন আমি এই গানটির কথা বাবনাকে বলি।পুরাতনি ঢং-এ গাওয়া হলেও, এটিকে এক নতুন আংগিকে পরিবেশন করা যায়। বাবনার গিটার, যা স্প্যানিশ ফ্ল্যামেন্কো স্টাইলে বাজিয়েছে, রোমেলের পিয়ানো আর অভিনাভের তবলার লহরায় এক ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসতে পারে।”

বাবনা করিম বলেন, 'ফ্ল্যামেনকো স্প্যানিশ সংগীত হলেও উপমহাদেশের সংগীতের সঙ্গে এর ফিউশনে নতুন কিছু করার অপার সুযোগ রয়েছে । সেখানে থেকেই জোছনা করেছে আড়ি গানটি ফ্ল্যামেনকো এবং ক্লাসিক্যাল মিউজিকের আদলে নতুন করে সৃষ্টি করা । সময় এসেছে আমাদের সংগীতের সঙ্গে বিশ্বের নানা ধারার সংগীতের সংমিশ্রণে নিজস্ব সংস্কৃতিকে আরও বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরার।' উল্লেখ্য, ডালিয়া নওশিন দেশের স্বনামধন্য নজরুল এবং শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী। সংগীতে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত করে।

মূল গানটির কাঠামো বজায় রেখে , বিদেশী কিছু যন্ত্র ব্যবহার করে, একটা ভাল লাগার, মনে রাখার মূর্ছণা সবার জন্য উপহার স্বরুপ নিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন। আগামী ১১ই নভেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায় গানটির ভিডিও-অডিও উন্মোচিত হবে।