NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

চীন-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক; চীনা প্রেসিডেন্ট


ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী : প্রকাশিত:  ২৩ মে, ২০২৫, ০৬:৪৮ এএম

চীন-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক; চীনা প্রেসিডেন্ট

 

 




১৫ই নভেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ফিলোলি গার্ডেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

সি চিন পিং উল্লেখ করেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে আমার শেষ বৈঠক ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে  এক বছর পার হয়েছে। গত এক বছরে অনেক কিছু ঘটেছে। বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী থেকে মুক্তি পেয়েছে, তবে মহামারীর ব্যাপক প্রভাব রয়ে গেছে। বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে, কিন্তু এর চালিকাশক্তির অভাব রয়েছে, শিল্প চেইন আর সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে, সুরক্ষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যাগুলো খুব প্রকট ছিল । বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হিসাবে, চীন-মার্কিন সম্পর্ককে বিশ্বের শত বছরব্যাপী পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা ও পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে দু’দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে এবং মানবজাতির প্রতি দায়িত্ব প্রদর্শন করতে পারে। 

শি চিন পিং আরো বলেন, বিগত ৫০ বছরে, চীন-মার্কিন সম্পর্ক কখনোই মসৃণ ছিল না। সবসময়ই কোন না কোন সমস্যা থেকে যায় এবং আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হতে থাকে । এমন দু'টি বড় দেশের পক্ষে একে অপরের সাথে যোগাযোগ না করা অসম্ভব। একে অপরকে পরিবর্তন করাও অবাস্তব। সংঘর্ষের ফল কেউ সহ্য করতে পারে না।


আমি এখনও একই মত পোষণ করি। বড় রাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই যুগের মূল সুর নয়। তা দিয়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের সম্মুখীন নানা সমস্যার সমাধান হবে না। এই পৃথিবীর বিভিন্ন সৃষ্ট সমস্যা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে একে অপরের প্রতি সম্মান রেখে সমাধান করতে হবে। আমাদের নিজ নিজ সাফল্য একে অপরের সুযোগও বটে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা আর উন্নয়নের পথ ভিন্ন, এটাই একটি বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবতা। তবে যদি দুই পক্ষই পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতার মাধ্যমে উভয়ের জয় লাভ মেনে চলে, তাহলে মতভেদ অতিক্রম করতে পারে এবং দুই বড় রাষ্ট্র একে অপরের সাথে সঠিকভাবে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে পারবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং আমি চীন-মার্কিন   সুসম্পর্ক, বিশ্বের জনগণ আর ইতিহাসের জন্য বৃহৎ দায়িত্ব বহন করি। আমি আশা করি, আজকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চীন-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত ও সামগ্রিক দিকনির্দেশকের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করবো এবং নতুন মতৈক্যে পৌঁছাতে পারবো।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।