খবর প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
বিতর্কিত এক নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে তার দল আওয়ামী লীগ ও মিত্ররা ২২৩টি আসনে জয়ের পর তিনি আরও ৫ বছর মেয়াদে দায়িত্ব শুরু করবেন। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায়, শেখ হাসিনার দল ও মিত্ররা বাকি আসনগুলোতেও যথারীতি বিজয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একে লজ্জার নির্বাচন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপির নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তারের পর রোববারের নির্বাচনে এই ফল এসেছে। সরকারি হিসাব বলছে কম ভোটার ভোট দিয়েছেন। এ সংখ্যা শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলা হয়ে থাকতে পারে। তুলনামূলকভাবে ২০১৮ সালে গত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল শতকরা ৮০ ভাগের বেশি। এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৫ আসনে এবং জাতীয় পার্টি জিতেছে আট আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের।
আজ সোমবার সরকারি ফল ঘোষণা করার কথা। এটা নিয়ে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব ৫ম মেয়াদের। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতায় আছেন। ভোট দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, এ দেশে যাতে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোত্তম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, দলীয় নেতা ও কর্মীদেরকে বিজয় বা আনন্দ মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাব অনুযায়ী, ২৮শে অক্টোবর বিরোধী দলের মহাসমাবেশ সহিংস হয়ে ওঠার পর প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সহিংসতাকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫০০ মানুষ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে জেলখানা ভরে ফেলেছে সরকার- এমন অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই নতুন বিজয়ের ফলে আওয়ামী লীগ কার্যত একদলীয় শাসনে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব কম মানুষই মনে করেন, সরকার তার দমনপীড়ন শিথিল করবে। যদি বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজের গ্রুপগুলো সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই থাকে তাহলে তাতে দমনপীড়ন আরও বেশি হতে পারে।