NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বাংলা সংস্কৃতিকে বিদেশে তুলে ধরতে চাইলে বিদেশে ‘বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার’ খোলার পরামর্শ


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

বাংলা সংস্কৃতিকে বিদেশে তুলে ধরতে চাইলে বিদেশে  ‘বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার’ খোলার পরামর্শ

   বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে ‘বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার’ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন সাংস্কৃতিক সংগঠক রামেন্দু মজুমদার।  বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকাকে এ পরামর্শ দেন তিনি।  রামেন্দু মজুমদার বলেন, “১৯৯৬ সাল থেকেই আমরা সরকারকে এ কাজটি করার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বলেছিলাম ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্যেটে ইনস্টিটিউট, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, নেহেরু সেন্টারের মত করে বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে কালচারাল সেন্টার খোলার জন্য।

 “সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে আামি একটি কাঠামোগত প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু এটার জন্য লিড মিনিস্ট্রি কারা হবে এটা নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপড়েন ছিল। সেখানে গিয়ে জিনিসটা থেমে যায়।”  তিনি বলেন, “আমি এখনো মনে করি এটা খুবই প্রয়োজন। বাংলা সংস্কৃতিকে বিদেশে তুলে ধরতে চাইলে, এটা খুবই সময়োপযোগী কাজ হবে। সেন্টারটির নাম হবে বঙ্গবন্ধুর নামে। সরকারের পক্ষ থেকে এটা করার প্রয়োজনীয়তা আছে।”   প্রথমবারের মতো অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত (পিবিও) কবি সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিককর্মীদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজন করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন।  বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে

এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।  উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি আসলে প্রবাসী শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না, তারা আমাদের স্বজন। বাংলা ভাষার চর্চা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, কিন্তু তেমন প্রয়োগ হয় না। প্রবাসীদের নিয়ে সাহিত্য সম্মেলনসহ বিভিন্ন কাজ করায় আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।” সম্মেলনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, “নিজের দেশকে বুকের মধ্যে রেখে চলতে হবে। পৃথিবীর অন্য কেনো দেশে প্রবাসীদের নিয়ে এমন কোনো সংগঠন আছে কিনা আমার জানা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রগণ্য। এই সম্মেলনে এসে আমি জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেলাম। বাংলাদেশের যে কোনো অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমি সবসময় এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকি।”  সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল অনুষ্ঠানে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্সের ওয়েবসাইট (www.nspublishers.com) উদ্বোধন করেন।

 তিনি বলেন, “প্রবাসীদের এমন সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রবাসীদের সৃজনশীল কাজ তুলে ধরা মহৎ কাজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বই আকারে তুলে ধরা যেতে পারে।”   অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনরে প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম।  প্রথম এনআরবি/পিবিও সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন ও স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।  অনুষ্ঠানে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একটি শামসুর রাহমানের প্রিয় কবিতা ও আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সময়ের ঘড়ি।  তিন দিনব্যাপী এনআরবি-পিবিও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলা একাডেমি। অনুষ্ঠানের আয়োজক সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন ও স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি।  শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দুটি অধিবেশন হবে। প্রথম অধিবেশন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে পরের অধিবেশন চলবে।