NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

রনির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার।


Abdur Razzak প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ১১:৫৪ এএম

রনির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার।

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও হতাশ ছিলেন রনি ইসলাম। তার দরিদ্র বাবা-মা পারছিলেন না ভর্তির টাকা যোগার করতে। সে ভর্তির টাকা দিয়ে রনির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রনির হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। 

নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান তার কার্যালয়ে রনি ও তার মাকে ডেকে নিয়ে সহযোগিতার এই অর্থ প্রদান করেন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রম্মত্তর বানিয়া পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও মোতাহারা বেগম দম্পত্তির ছেলে রনি ইসলাম। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তৃতীয় সে। বাবার কাঠ মিস্ত্রির আয়ে চলে তাদের সংসার। কিন্তু বাবা অসুস্থ হওয়ায় পারছিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা যোগার করতে।
ছোট বেলা থেকে রনির স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিয়ার হওয়ার। সে স্বপ্নে লেখাপড়া চালিয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে অর্জন করেছে জিপিএ-৫। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ভর্তি হয় সৈয়দপুর সানফ্লয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে ভালো ফলাফল করে ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ (রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় ২৩৮৪ অবস্থান করে সে। ভর্তির টাকা পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রনির মা মোতাহারা বেগম।

এসময় তিনি বলেন, “আমি খুশি, ওনার মতো অফিসার গরীবের বন্ধু। আল্লাহ তার ভাল করুক।”

তিনি বলেন, “ছেলের ভর্তির টাকার জন্য খুবই চিন্তায় ছিলাম। এতো টাকা পাবো কোথায়, ভাবছিলাম টাকার অভাবে ছেলেকে ভর্তি করাতে পারবো না! এমন নিদানে একজন দয়ালু মানুষকে আল্লাহ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।”

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, “রনির বিষয়টি জানতে পেরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূর আলম মিনহাজ আমাকে বিষয়টি নজরে আনতে নির্দেশ দেন। স্যারের নির্দেশে তার ভর্তির জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।”

টাকা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও রনির ছোট বোন লামিয়া আক্তার, মা মোতাহারা বেগম।