NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ড্রাগন চাষ করে সফল কিশোরগঞ্জের কৃষকরা


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

ড্রাগন চাষ করে সফল কিশোরগঞ্জের কৃষকরা

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


কয়েক বছর আগেও ড্রাগনকে বাংলাদেশের মানুষ জানতো বিদেশি ফল হিসেবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে সেই ধারণা। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে লাল ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা।

রসালো ও পুষ্টিকর এই বিদেশি ফলটির চাষ ছড়িয়ে দিতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস। এতে করে কৃষকরা ফলটি চাষে মনোযোগী হচ্ছেন। এরমধ্যেই তার সুফল মিলতে শুরু করেছে।

৭০ শতাংশ জমিতে লাল ড্রাগন ফলের বাগান করেছেন আবরার এগ্রো ফার্মের মালিক কামরুল ইসলাম কাজল। উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখান গ্রামে এই ফার্মটি অবস্থিত।

ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভিত্তিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজলের বাগানে লাল ড্রাগন লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছের ডগায় দুলছে ড্রাগন ফল। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষে খুবই উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে এ ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি।

রোগ-বালাই কম, কম পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এলাকার অনেক কৃষকরা। ফার্মের ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২১ সালে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৭০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। যশোর থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে, এরপর ফল আসা শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, রাজধানী ঢাকাসহ স্থানীয় বাজারে প্রথমে ফল বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজার মূল্যে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এ বছর ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করেন।
উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, ‘বাগান তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। তবে এর সফলতা ২০ বছর পর্যন্ত পাব। বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি। তাই বাগান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা ফল বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তা কাজল বাণিজ্যিকভিত্তিতে লাল ড্রাগনের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে ৩০ জন কৃষক ড্রাগনের বাগান করেছেন। শখের বসে হলেও বাগানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও লাভবান হবেন। উচ্চ মূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’