NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

রংপুরের ফুটবলের গ্রাম পালিচড়া আনন্দে ভাসছে


Abdur Razzak প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম

রংপুরের ফুটবলের গ্রাম পালিচড়া আনন্দে ভাসছে
এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে : মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ নেপালের মাটিতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খুশিতে ভাসছে রংপুরের সদ্যপুস্করনি ইউনিয়নের পালিচড়া গ্রাম। এই গ্রামের মেয়ে স্বপ্নার জোড়াগোলে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে দিয়েছে এক গোল স্বপ্না। ভুটানকে এক গোল দেয়ার ১২ মিনিটের মাথায় ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ের স্বপ্না। বাংলাদেশ দলের সাফল্যে সাথে জড়িয়ে ছিল স্বপ্নার স্বপ্ন। স্বপ্ন সত্যি হওয়ায় খুশিতে ভাসছে স্বপ্নার পরিবার। ম্যাচ জয়ের পরে পালিচড়ার মানুষ আনন্দে নেচে গেয়ে অভিনন্দন জানান স্বপ্নার বাবা-মা এবং যার হাত ধরে ফুটবল জগতের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে সেই কোচ মিলন মিয়াকে। ম্যাচ জেতার পরে কথা হয় স্বপ্নার মা লিপি বেগম ও বাবা মোকছার আলীর সাথে। তারা আবেগআপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে যে দলে খেলেছে সেই দল আজ সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে।’ মা লিপি বেগম বলেন, ‘ররিবার রাতে স্বপ্না ফোনে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন দল যাতে জিততে পারে। স্বপ্নার কথা মত আমরা সবাই প্রাণভরে দোয়া করছি।’ তিনি জানান, তার ৩ মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্বপ্না সবার ছোট। ২০১১ সাল থেকে ফুটবলের সাথে জড়িয়ে আছে তার মেয়ে। মেয়ের এবং দেশের সাফল্যে তারা সবাই খুশি । কি যে আনন্দ হচ্ছে তা ভায় প্রকাশ করতে পারব না বলে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন স্বপ্নার বাবা-মা। সদ্যপুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব এএফসির ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ মিলন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ তথা স্বপ্নার সাফল্যে তিনি খুব খুশি। তিনি বলেন, ফাইনালে স্বপ্নাকে মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরি কারণে কিছুক্ষণ পরে তাকে তুলে নেয়া হয়। স্বপ্না ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে মোট ৪টি গোল করেছেন। স্বপ্নার এই সাফল্যে পালিচড়াবাসি খুবই আনন্দিত। রংপুর নগরী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের গ্রাম পালিচড়া গ্রাম। এটি সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নে। এখানে এক সময় ছেলেদের খেলাধুলাই ছিল স্বপ্ন। সেখানে মেয়েরা ফুটবলে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বেশ কয়েকবার। বর্তমানে পালিচড়ার বেশ কজন নারী ফুটবলার উন্নত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জাতীয় পর্যায়ে সদ্যপুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব নারী খেলোয়ার তৈরিতে অবদান রাখছে। যা ইতোমধ্যে দেশবাসীকে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।