NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ২৬, ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশি প্রবাসীদের আনন্দঘন পরিবেশে কুইন্সে পালিত হলো ইউ এস এ ৯৭-৯৯ এর পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন, জানাল যুক্তরাষ্ট্র 'To achieve great things, we must dream big and take action to pursue them' চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা ৩৪তম বইমেলা শুরু ৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি
Logo
logo

প্রেমের টানে জয়পুরহাটের মেয়েকে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কান যুবক


Abdur Razzak প্রকাশিত:  ২৫ মে, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

প্রেমের টানে জয়পুরহাটের মেয়েকে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কান যুবক

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


জর্ডানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন জয়পুরহাটের এক নারী। ওই কোম্পানির সুপাইভাইজার পদে ছিলেন শ্রীলঙ্কান এক যুবক। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেম। দেড় বছর আগে ওই যুবক তার নিজ দেশে ফিরে যান। সম্প্রতি তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে জয়পুরহাটে এসেছেন। বিয়েও করেছেন ওই নারীকে।

ওই নারীর নাম মোছা. রাহেনা বেগম (৩২)। আর যুবকের নাম রওশন মিতন (৩৩)। রাহেনার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের উত্তর পাথুরিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম শাহাদুল ইসলাম।

রাহেনা বেগম নিউইয়র্ক বাংলা ডটকমকে বলেন, কম বয়সে আমার বিয়ে হয়। সেখানে একটি বাচ্চাও আছে। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে জর্ডানে কাজ করতে যাই। সেখানে থাকতেই স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে আমার ওই কোম্পানিতে সুপাইভাজার পদে চাকরি করতেন রওশনের। তার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছর আগে রওশন তার নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় চলে যায়। আর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। এর মধ্যে মোবাইলে আমাদের কথা হতো। তার পরিবারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। সম্প্রতি রওশন ঢাকা বিমানবন্দরে আসলে আমি তাকে জয়পুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসি এবং ২২ সেপ্টেম্বর বিয়ে করি। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অ্যাফিডেভিট করা হয়।

রাহেনা বলেন, রওশনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। আমার পরিবারও খুশি। রওশন অল্প অল্প বাংলা বলতে পারে। এতে আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে তার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। এখন দেশেই থাকব, নাকি রওশনের সঙ্গে তার দেশে যাব এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে রওশন মিতন নিউইয়র্ক বাংলা ডটকমকে বলেন, ‘মেয়ের পরিবার পছন্দ হয়েছে। তারা সকলেই অনেক ভালো। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’

রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে জর্ডানে ছিল। ওই ছেলেও জর্ডানে ছিল। তার বাড়ি শ্রীলঙ্কায়। সেখানে তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়। পরে ছেলে তার নিজ দেশে চলে যায়, এরপর আমার মেয়ে বেশ কিছু দিন থাকার পর বাড়িতে চলে আসে। এরই মধ্যে তারা দুজন মোবাইলে কথা বলে। ছেলে তখন কল করে বাংলাদেশে চলে আসে।

তিনি বলেন, ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমরা তাদের বিয়ে দেই। এখন পর্যন্ত জামাই-মেয়ে ভালো আছে। আমি তাদের দোয়া করি। ছেলে বাংলাদেশে থাকলে আমি বাড়ি করবার জায়গা দেব, আর তারা ওই দেশে ঘুরতে যেতে চাইলে যাবে।