NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

আদমদীঘিতে মোড়ে মোড়ে মৌসুমি শীতের পিঠা বিক্রির ধুম


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম

আদমদীঘিতে মোড়ে মোড়ে মৌসুমি শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

এম আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে :


শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরায়িত সংস্কৃতির অংশ। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতের আগমনের সাথে সাথে মৌসুমি পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের পিঠা নানা দামে, নানা নামে বিক্রি হচ্ছে । পিঠা ব্যবসা করে বাড়তি আয় হওয়ায় কোন কোন স্থানে মহিলারাও পিঠার দোকান খুলে বসেছে।

প্রতি বছর এই পিঠার ব্যবসা করে বাড়তি আয় করে উপজেলার কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী। প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ দাড়িয়ে ও বসে থেকে পিঠা খেতে দেখে যায়।
সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আদমদীঘির বাসষ্ট্যান্ড মোড়, ষ্টেশন মোড়, মুরইল বাজার, নশরতপুর বাজার মোড়, সান্তাহারে স্টেশন চত্বর, রেলওয়ে পুরাতন মার্কেট, রেলগেট চত্বর, স্টেশন রোড চত্বর সহ নানা স্থানে নানা নামে মৌসুমি পিঠা বিক্রি হচ্ছে সকাল-সন্ধায়। এই সকল পিঠার মধ্যে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, দুধচিতই, ডিমচিতই, মালপোয়া, নারিকেল পুলি,পাকন,কুশলি,ফুলকি,মোঠা,তেলপিঠা সহ
ইত্যাদি। সকাল এবং সন্ধায় পিঠা ব্যবসায়ীরা শীতের এই মৌসুমে পিঠা ব্যবসা করে বাড়তি আয় করছে। পিঠা কিনতে আসা তালসন গ্রামের শামলী খাতুন জানালেন সময় পিঠা বাননো হয় না। কেনাকাটার ফাকে তাই বাচ্চাদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। শীতের এই সব পিঠার সাথে পিঠা ব্যবসায়রা বাড়তি হিসাবে সরিষার ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনে পাতার ভর্তা খদ্দেরদের ফ্রি দিয়ে থাকেন।

আদমদীঘি উপজেলার সদরের জনতা ব্যাংকের সামনের কয়েক বছর ধরে পিঠা বিক্রি করে আসছে মহসিন আলী। তার দোকানের পিঠা খাওয়ার জন্য অনেক দূরের খদ্দেররা তার দোকানে আসে। সন্ধ্যা থেকে রাত পযর্ন্ত এই দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা বিক্রি করে ব্যবসায়ী মহসিন আলী সাবলম্বী হয়েছেন।’শীতের মৌসুমে প্রতি বছর পিঠার ব্যবসা করি আর আয় ভালই হয়। সে আরো জানায় সন্ধ্যার পর থেকে পিঠার বিক্রি বাড়তে থাকে। অফিসগামী ও বাড়ি ফিরতি মানুষেরা অল্প কিছু টাকা খরচ করে নাস্তা সেরে নিচ্ছে এই সব পিঠা খেয়ে।
এছাড়াও নানা ব্যস্ততায় অনেকে এই সব পিঠার দোকান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যায়।