NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ২, ২০২৫ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর গভর্নর পদে প্রথম বাংলাদেশি আসেফ বারী টুটুলের ঐতিহাসিক বিজয় ও সংবর্ধনা অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক ৩৪তম বাংলা বইমেলা সমাপ্ত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আনন্দঘন পরিবেশে কুইন্সে পালিত হলো ইউ এস এ ৯৭-৯৯ এর পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন, জানাল যুক্তরাষ্ট্র 'To achieve great things, we must dream big and take action to pursue them' চারদিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা ৩৪তম বইমেলা শুরু ৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস
Logo
logo

হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিশ্ব শান্তি ফিরে আসবে: সি চিন পিং


ছাই উইয়ে মুক্তা,বেইজিং প্রকাশিত:  ০১ জুন, ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিশ্ব শান্তি ফিরে আসবে: সি চিন পিং

 

আন্তর্জাতিক:২০ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক ঐক্য দিবস। ‘জাতিসংঘের সহস্রাব্দ ঘোষণা’-এ (United Nations Millennium Declaration) বলা হয়েছে, ঐক্য হলো একুশ শতকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক মানগুলোর মধ্যে একটি। বিগত দুই মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন এবং ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেছেন। 

তিনি বার বার ‘ঐক্য’ শব্দটি উল্লেখ করেছেন।গত ১৫ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আয়োজিত জি-টুয়েন্টি ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং ‘একসাথে যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন। 

তিনি তাঁর বক্তৃতায় সংকট মোকাবিলায় ঐক্য ও সহযোগিতার গুরুত্ব গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ঐক্য হলো শক্তি, বিচ্ছিন্নতার ভবিষ্যৎ নেই। মানবসভ্যতা একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশ করেছে এবং শীতলযুদ্ধের মানসিকতা অনেক আগেই সেকেলে হয়ে গেছে। গরিবরা আরও দরিদ্র ও ধনী আরও ধনী হওয়ার ভিত্তিতে বিশ্বের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সি চিন পিংয়ের এসব কথা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 

গত ১৮ নভেম্বর থাইল্যান্ডের বাংককে আয়োজিত এপেক’র ২৯তম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং ‘দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যের ভিত্তিতে সহযোগিতা চালিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন। তিনি তাঁর বৃক্ততায় বলেন, কয়েক দশক ধরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। পাস্পরিক সম্মান, ঐক্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করতে হবে। 

গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘চীন-আরব বন্ধুত্বপূর্ণ চেতনা প্রচার করে যৌথভাবে নতুন যুগের চীন-আরব অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন। তিনি তাঁর মূল ভাষণে বলেন, চীন ও আরব দেশগুলো হলো পরস্পরের কৌশলগত অংশীদার। আমাদের মৈত্রী ও বন্ধুত্বপূর্ণ চেতনা উন্নত করতে হবে। আমাদের ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং আরো ঘনিষ্ঠ চীন-আরব অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে। 

একই দিন প্রথম চীন-উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং তাঁর ‘অতীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও ভবিষ্যতের সূচনা করা এবং হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া, যৌথভাবে চীন-জিসিসি সম্পর্কের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করা’ শীর্ষক বক্তৃতায় চারটি অংশীদারিত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হচ্ছে: একসাথে ঐক্য ত্বরান্বিত করার অংশীদার, একসাথে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অংশীদার, একসাথে নিরাপত্তা গড়ে তোলার অংশীদার এবং একসাথে সভ্যতা গড়ে তোলার অংশীদার।

সি চিন পিং তাঁর বক্তৃতায় বলেন, অংশীদারদের তাৎপর্য ও মূল্য কেবল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাল সময়ে সমৃদ্ধির মধ্যেই নয়, প্রতিকূল সময়ে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেও রয়েছে। ঐক্য হলো শক্তি, ঐক্য জয়ী হতে পারে। 

বর্তমান বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী ছড়িয়ে পড়ছে, ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তেজনাময়, ইউক্রেন সংকটের নেতিবাচক প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়ছে। এসব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়? চীনা নেতা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন। সূত্র: ছাই ইউয়ে,সিএমজি।