এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৫, ১১:১০ পিএম
এম আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে :
পাচারে ব্যর্থ হওয়া প্রায় দুই মন ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দিঘলকান্দি পশ্চিম পাড়া করতোয়া নদী সংলগ্ন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার বেলা ৩ টার সময় দিঘলকান্দী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বুলু,ভ্যান চালক খোরশেদ আলম কুকরু, শাহিন মিয়া, উল্লেখিত স্থানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় চটের বস্তার ভিতর একটি মূর্তি পায় এবং ভ্যান যোগে নিজের হেফাজতে বাড়িতে রাখেন এবং তাৎক্ষনিক বিষয়টি লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আবু নাসের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আপেল মাহমুদকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মূর্তিটি তাদের হেফাজতে নেন এবং পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন বিট অফিসার সদর থানার এস আই আব্দুল মালেককে অবহিত করলে তিনি ৯৯৯ এ কল করলে এস আই ব্রজেন চন্দ্র, শহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আপেল মাহমুদ, ইউপি সদস্য আল আমিন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বগুড়া মহাস্থান যাদুঘরের কাষ্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানাসহ স্থানীয় সাংবাদিক,গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মূর্তি পেয়েও সততার দৃষ্টান্তের পরিচয় দিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বুলু(৯০) শাহিন মিয়া(৩৫) ভ্যান চালক খোরশেদ আলম কুকরু(৩২)। তবে এলাকাবাসীর ধারণা করেন এই কষ্টিপাথরের মূর্তিটি কে বা কারা বিক্রির উদ্দেশ্যে বা পাচারের উদ্দেশ্যে ব্যর্থ হয়ে উক্ত জায়গায় চটের বস্তার মধ্যে তুলে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনার সাথে মহাস্থান এলাকার কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
এমন সুন্দর সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আপেল মাহমুদ তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই সাথে তিনি পরিষদের পক্ষ থেকে ৩জন কে পুরুষ্কিত করবেন বলেও জানান। এলাকাবাসীর দাবি এমন পুরস্কার শুধু চেয়ারম্যান নয় সরকারের পক্ষ থেকেও তারা যেন পায়।