জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে আমার দীর্ঘদিনের কাজের সমাপ্তি হলো এ মাসে। ডয়চে ভেলে শুধু আমার কর্মস্থল ছিলনা, এই প্রতিষ্ঠানটি আমার পরিবার, আমার ভালোবাসা। ছোটবেলা থেকেই আমি প্রচন্ড রেডিও ভক্ত ছিলাম। রেডিও অনুষ্ঠান শুনে বলিষ্ঠ কন্ঠের বাংলা সংবাদ পাঠক আবদুস সাত্তারের প্রেমেও পড়েছিলাম সেই ফ্রক পরা বয়সেই!পরে কাকতালীয়ভাবে সেই মানুষটির সাথেই আমার বিয়ে হয়। তার সাথে ঘর বাঁধতেই ১৯৭৬ সাথে প্রিয়জনদের ছেড়ে এ দেশে আসি আর তখন থেকেই আমি ডয়চে ভেলের বাংলা ভাষা পরিবারের একজন সদস্য। ১৯৮৬ সাল থেকে নিজেও বাংলা বিভাগে কাজে যুক্ত হই, ডয়চে ভেলে পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বেশি হয়। কর্মক্ষেত্রে আমি আমার কাজ এবং সহকর্মীদের সঙ্গ দুটোই সমানভাবে উপভোগ করেছি।
সহকর্মীদের সাথে হৈচৈ করে ক্যান্টিনে খেতে যাওয়া, রাইন নদীর পাড়ে হাঁটা, আইসক্রিম খাওয়া সবই দারুণ উপভোগ্য ছিলো আমার কাছে। বাংলা বিভাগ ছাড়াও অফিসের বিভিন্ন ভাষাভাষী সহকর্মীদের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
আসলে সেই টিনএজ বয়সে দেশ ছেড়েছি, তারপর থেকেই জার্মানিতে এতগুলো বছর ডয়চে ভেলের সাথেই কাটিয়েছি। এই গণমাধ্যমটির সাথে জড়িয়ে আছে আমার বহুদিনের আবেগ, উচ্ছ্বাস।
ডয়চে ভেলের মতো আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পেয়ে জীবনকে অন্যভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছি। করোনাকাল এবং তার পরবর্তী সময়ে কিছুদিন হোম অফিস করার কারণে সবার সাথে নিয়মিত দেখা না হওয়ায় আমার বেশ মন খারাপ ছিলো। ডয়চে ভেলে থেকে বাংলায় শর্টওয়েভে রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৭৫ সালে।
সময়ের সাথে পরে টেলিভিশন, অনলাইন, ইউটিউবসহ নানা পরিবর্তন এসেছে। তবে রেডিওর সেই স্বর্ণালী যুগের কথা ভাবলে আজও পুলকিত হই! জার্মান বেতার তরঙ্গের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে শ্রোতাবন্ধুদের যে অকৃত্রিম ভালেবাসা আর আন্তরিকতা পেয়েছি তা এখনও পিছু ডাকে।
যাই হোক, নিয়ম অনুযায়ী অবসর নিতে হয়, তবে অতি চেনা এই প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের প্রিয় মানুষগুলো আর শ্রোতা, দর্শক, পাঠকবন্ধুরা আগের মতোই আমার হৃদয়ের বিশাল জায়গা জুড়ে থাকবে।
জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে আমার দীর্ঘদিনের কাজের সমাপ্তি হলো--নুরুন্নাহার সাত্তার
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

আন্তর্জাতিক রিলেটেড নিউজ

Bangladesh calls for reinvigorate efforts and initiatives to ensure and promote accountability for crimes against peacekeepers

চীনা চা তৈরির কৌশল ইউনেস্কোর অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে মজবুত করতে চাই :ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রুসেভেল্ট স্কেরিট

চীনে শৈল্পিক সম্পদ প্রবর্তনের মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ উন্নত হয়েছে

সিয়া তাং গ্রামের লোকজন নিজের চেষ্টায় নতুন গল্প রচনা করেছেন

পরিশীলিত ও মনোমুগ্ধকর একটি সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার দিলেন ন্যান্সি

তরুণরা সংগ্রামের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রেসিডেন্ট সি

চীনে দিখছি উন্নয়নের এক অসাধারণ পরিবর্তন:কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ডেনিস গুয়েসো