NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা ভারত পাকিস্তান উত্তেজনায় কী বলছেন বিশ্বনেতারা
Logo
logo

বৈচিত্র্যময় ও নৈশ অর্থনীতি চীনাদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে


শুয়েই ও তৌহিদ : প্রকাশিত:  ০৫ মে, ২০২৫, ১২:২২ পিএম

বৈচিত্র্যময় ও নৈশ অর্থনীতি চীনাদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে

 চীনের বিভিন্ন স্থানে ‘বসন্ত অর্থনীতিকে’ কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য আরো জোরদার করা হয়েছে। চীনে মহামারি প্রতিরোধ নীতি সুবিন্যস্ত করা এবং মানুষের জীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো ‘বৈশিষ্ট্যময় অর্থনীতি’ দেখা যাচ্ছে। যা ভোগ বাজারকে আরো সমৃদ্ধ করছে। আজ এই বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।

বসন্তকালে ফুল উপভোগের অর্থনীতি অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বসন্তকালে লোকজন বাইরে গিয়ে ফুল উপভোগ করতে ও ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। বেইজিংয়ের মহাপ্রাচীরের কাছে যাত্রীরা ট্রেনে করে ফুলের সমুদ্র পার হচ্ছে। কান সু প্রদেশের পাহাড়জুড়ে পিচ ফুল বসন্তকালকে আরো সুন্দর করে সাজিয়েছে। এক একটি ট্রেন পার হচ্ছে। অনেক পর্যটক ফুল দেখে ও ছবি তোলে। তারা বসন্তকালের সুন্দর সময় কাটায়।

এ ছাড়া চীনে বিভিন্ন জায়গায় নৈশ অর্থনীতি জমজমাট হয়ে উঠছে। রাতে মানুষের জীবন বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। চীনের হু নান প্রদেশের ছাংশা শহরে নৈশ অর্থনীতি পুরো শহরের সার্বিক ভোগের পরিমাণের ৬০ শতাংশেরও বেশি। রাতের খাবার, রাতের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, রাতের দৃশ্য এবং রাতের কেনাকাটা, সবকিছু মিলিয়ে রাতের বাজার আরো রঙিন হয়ে উঠছে।

আমরা দেখতে পারি, অর্থনীতির আরও নতুন ধরন দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘন্টার বইয়ের দোকান এবং জিম মানুষের বৈচিত্র্যময় ভোগের চাহিদা মেটাচ্ছে।

এসব নতুন অর্থনীতির ধরণকে বলা হয় ‘বৈশিষ্ট্যময় অর্থনীতি’। যা আরো বেশি ভোগের চাহিদা মেটাতে পারে। যা বাজারের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, শহরকে আরো প্রাণচঞ্চল করা এবং ভোগ বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে নৈশ অর্থনীতি চীনাদের কাছে অনেক পরিচিত হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সাল থেকে তা দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে তা অনেক জায়গার সরকারের ভোগ বাজারকে উন্নত করার প্রধান ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।  iResearch রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে চীনের নৈশ অর্থনীতির পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি হয়েছে।

বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি ভোগকে চাঙ্গা করছে। বর্তমানে চীনা অর্থনীতি পুঁজি বিনিয়োগের অবস্থা থেকে ভোগের দিকে রূপান্তর হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানের অবস্থা ভিন্ন, তাই অবশ্য বিভিন্ন ভোক্তাদের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। যেমন, চীনের হ্য পেই প্রদেশ ব্যাপকভাবে অলিম্পিক গেমসের পরের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিল্প উন্নত করছে, চীনের ইয়ুননান প্রদেশ বন্দর অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। এভাবে বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি আরো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে।

বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি উন্নত করার জন্য বাজারের অবস্থা অনুযায়ী ভোগের পরিবেশ উন্নত করতে হয়। যাতে অব্যাহতভাবে ভোগের সুপ্তশক্তি কাজে লাগানো যায়। ভোগ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তারা একদিকে পণ্যের গুণগতমানের ওপর গুরুত্ব দেয়, অন্যদিকে ভোগ প্রক্রিয়ায় ভালো অনুভূতির ওপর গুরুত্ব দেয়। এখন চীনে নতুন প্রজন্মের মানুষ ভোগের প্রধান শক্তিতে যোগ দিচ্ছে।
নৈশ অর্থনীতি কেন দ্রুত বাড়ছে? এর কারণ হল তা জনসাধারণের অব্যাহত পরিবর্তনশীল ভোগের চাহিদা মেটাতে পারে। বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি শুধু টেকসইভাবে নতুন ও বিশেষ ভোগের অভিজ্ঞতা দিতে পারলেই তা প্রাণচঞ্চল হতে পারবে। 

চীনের অর্থনীতি এখন দ্রুত পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে আছে। অর্থনীতি উন্নয়নের সুফলকে জীবনের গুণগতমানে রূপান্তর করা এবং ভোগের চাহিদাকে ভোগের বাজারে পরিণত করা প্রয়োজন। বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির মাধ্যমে আর্থিক প্রবৃদ্ধির নতুন ক্ষেত্র সৃষ্ট হচ্ছে, চীনের উচ্চ মানের উন্নয়নেও তা শক্তি যোগাতে পারবে।
সূত্র : চায়না মিডিয়া গ্রুপ