NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুট করে, না থাকলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়: রংপুরে প্রধানমন্ত্রী


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ১২ মে, ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুট করে, না থাকলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়: রংপুরে প্রধানমন্ত্রী

 উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি : বিএনপি কত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এরা মানুষের জাত না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুট করে। না থাকলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা শুধু জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসই করতে পারে। খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক রহমান লুটপাট করতে জানেন। তারা ধ্বংস করেন আর আমরা সৃষ্টি করি। নৌকা ক্ষমতায় এলে কাজ হয় আর অন্য কেউ এলে কোনো কাজ হয় না। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি। মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার তালিকাও করেছি। আমরা প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। নারীদের জন্য কাজের সুবিধা করে দিয়েছি। আমাদের কাজের লক্ষ্য দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করা, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতি করা। এ অঞ্চলে জীবনেও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না, মঙ্গা দেখা দেবে না। বাংলাদেশে কোনো ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নও করবো।সরকার প্রধান বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কয়লার দাম ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েকদিন কষ্ট হয়েছে। এরপর এখন ঠিক হয়ে গেছে। বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আমি খালি হাতে আসিনি। আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। যাতে প্রত্যেকটা উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় তার ব্যবস্থা করেছি।

জাতির পিতাকে অবৈধভাবে হত্যার পর মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল। সে সময় প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেখিছি মানুষের হাহাকার। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল যখন সরকার গঠন করতে পারবো তখন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবো। আমর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসব স্বপ্ন দেখে গেছেন তা পূরণ করছি। দেশের দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। ক্ষুদামুক্ত দেশ করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রংপুর কোনোদিন মঙ্গা হয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ দল সরকারে এলে এবং নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়- আমরা তা প্রমাণ করেছি। খালেদা জিয়া মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এসবের পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৪ বছর যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। ট্রেনিং দিয়েছি, কাজের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ কৃষকের বন্ধু। কুষকদের জন্য কুড়িগ্রামে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছি। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি। অথচ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে কৃষক সার চাইতে গেলে গুলি করে হত্যা করেছেন। এর আগে দুপুর ২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাস হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। এরপর সড়কপথে সার্কিট হাউজে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এদিন দুপুর সোয়া ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জনসভার কার্যক্রম। রংপুরের ঐতিহাসিক জিলা স্কুল মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠ ছাড়িয়ে প্রধান সড়কের দুদিকে অবস্থান নেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। নানা রঙের পোশাক আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে গান গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা। রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও জনসভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রমুখ।