NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

একটি বিয়ে এবং একটি মৃত্যু-- মিনহাজ আহমেদ


খবর   প্রকাশিত:  ২০ মে, ২০২৫, ০৮:২৩ এএম

একটি বিয়ে এবং একটি মৃত্যু-- মিনহাজ আহমেদ

গেলো ১ অক্টোবর আমাদের মেয়ে সারাহ্-এর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর কন্যার বাবা হিসেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই ঘুম ভাঙলো এক মৃত্যু সংবাদে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ঘরে ফেরার পথে নিহত হয়েছে আমার মেয়ের বন্ধু রায়ান কারসন। মাত্র ৩২ বছরের এই তরুণকে উপর্যুরপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে উন্মাদগ্রস্থ এক আততায়ী। রায়ান তখন তার ব্রুকলিনের বাড়িতে ফেরার জন্য গার্লফ্রেন্ড-এর সাথে বাসের অপেক্ষায় ছিলো। গার্লফ্রেন্ড-এর কোলে মাথা রেখেই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।বিষয়টি আমাদের পরিবারের জন্য প্রচণ্ড পরিতাপ ও শোকের এই কারণে যে, আমার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে যাওয়ার পথেই ঘটনাটি ঘটলো।

গতকাল (২ অক্টোবর) রায়ানের বন্ধুরা ক্রাউন হাইটস্-এর হারবার্ট ভন কিং পার্ক-এ প্রজ্বলিত প্রদীপ হাতে এক শোকসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে রায়ানের শোকগ্রস্ত বন্ধু, সহকর্মী ও সমর্থকদের কথা শুনে এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি ও সংবাদ পড়ে বুঝলাম, রায়ানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমরা একজন সম্ভাবনাময় বড় মাপের সংগ্রামী রাজনীতিসচেতন স্বেচ্ছাসেবক সমাজকর্মী হারালাম।

রায়ান ছিলো একজন কবি, এডভোকেট, রাজনৈতিক সংগঠক, নীতি বিশ্লেষক, নিঃস্বার্থ ও ত্যাগী পরিবেশ আন্দোলনকর্মী। অ্যাংজাইটি নামে তার একটি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থও রয়েছে। বন্ধুদের মতে, যে কারো দুর্দিনে দুঃসময়ে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য রায়ানের দরজা সব সময় উদার উন্মুক্ত ছিলো।

বিয়ের অনুষ্ঠানে রায়ান ও তার বন্ধুরা নেচে-গেয়ে প্রচণ্ড হই-হুল্লোর করেছে। তাদের অনেকেরই বাংলাদেশি সংস্কৃতি, চালচলন, সামাজিক রীতি-নীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিলো না। তবুও তাদের অনেকেই আমাদের মতো পোশাক পড়েছে, উপস্থিত নানান বর্ণের-চেহারার মানুষদের সাথে মন খুলে কথা বলেছে। রায়ানের শোকাভিভূত গার্লফ্রেন্ড ক্লডিয়া শোক সমাবেশে আমাকে দেখে জানালো, বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার বলা কথাগুলো রায়ান ও তার কাছে হৃদয়স্পর্শী মনে হয়েছে। এসব ভেবে আমার মনে একটি কথাই ফিরে ফিরে আসছিল- কেনো রায়ানের মতো এমন একজন মানুষকে এভাবে এই বয়সে চলে যেতে হলো!ঘটনাটি শুধু শোকের নয়, উদ্বেগেরও কারণ। এখন অবধি কোনো আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই হন্তারক যে আরেক রায়ানকে হত্যা করার জন্য ওৎ পেতে নেই, সেটা কেউ বলতে পারবে না।

আশঙ্কাজনক এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে সচেতন হয়ে চলার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের প্রতি জননিরাপত্তার বর্ধিত ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাচ্ছি।