NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালন


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ মে, ২০২৫, ০৪:৩২ এএম

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালন

নিউইয়র্ক, ০৬ নভেম্বর ২০২৩:

 

আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এতে মূল বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

স্থায়ী প্রতিনিধি তাঁর বক্তব্যে সংবিধান প্রণয়ণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন এবং পবিত্র দলিল। এর মর্যাদা সম্মুন্নত রাখা আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব”। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে আমাদের সংবিধানের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা আমাদের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধানের মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “আমাদের সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের গৌরবময় ইতিহাসের নির্যাস। এ সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে জাতির পিতা সেদিন দেশে জনতার শাসনতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। এতে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি সমাজে ন্যায় বিচার, সমতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছে।”জাতীয় সংবিধান দিবস পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের সংবিধান আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ও এর বাস্তবায়নের মূলভিত্তি। দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কিভাবে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তার সকল সুস্পষ্ট দিক্‌নির্দেশনা রয়েছে এই সংবিধানে। তাই আমরা আমাদের কর্ম ও চিন্তায় যেন সর্বদা সংবিধানকে অনুসরণ করতে পারি, তার জোরালো আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।”

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকার’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা। তিনি আমাদের সংবিধানকে নারী বান্ধব করে তুলতে তrকালীন সংবিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত খসড়া কমিটির একমাত্র নারী সদস্য রাজিয়া বানুর ভূমিকা তুলে ধরেন। মিনিস্টার মনিকা বলেন, “আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে রাজিয়া বানু বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া, দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারের অধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্তিকরণেও বিশেষ অবদান রাখেন রাজিয়া বানু।” মিনিস্টার শাহানারা মনিকার উপস্থাপনার পর উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।আলোচকগণ বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান শুধু আমাদের সর্বোচ্চ আইনই নয়, এতে দেশের সীমারেখা, প্রশাসনিক ভিত্তি, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগসহ রাষ্ট্রপরিচালনার সংশ্লিষ্ট সকল দিকই তুলে ধরা হয়েছে, যা পূর্নাঙ্গ এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি রাষ্ট্রীয় দলিল।” অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের দূতালয় প্রধান ফাহমিদ ফারহান।