NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা ভারত পাকিস্তান উত্তেজনায় কী বলছেন বিশ্বনেতারা
Logo
logo

চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক বিবৃতি বিশ্ব জনমত স্বাগত জানিয়েছে : সিএমজি সম্পাদকীয়


আন্তর্জাতিক : প্রকাশিত:  ১৭ মে, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক বিবৃতি বিশ্ব  জনমত স্বাগত জানিয়েছে : সিএমজি সম্পাদকীয়

‘এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ ১২ মে চীন-মার্কিন জেনিভা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য আলোচনার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক জনমত একে স্বাগত জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র তার অতিরিক্ত শুল্কের মোট ৯১ শতাংশ বাতিল করেছে এবং চীনও একইভাবে তার পাল্টা শুল্কের ৯১ শতাংশ বাতিল করেছে; যুক্তরাষ্ট্র ২৪ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে, এবং চীনও একইভাবে ২৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। এর ফলে সেদিন প্রধান বৈশ্বিক শেয়ার বাজারগুলি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। 

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা মন্তব্য করেন যে, চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনার অগ্রগতি কেবল চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এবং সব পক্ষের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

মার্কিন পক্ষের অনুরোধে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের পর থেকে এটি ছিল দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। দুই দিনে উভয় পক্ষের মধ্যে আন্তরিক, গভীর ও গঠনমূলক যোগাযোগ হয়েছে। তারা বেশ কয়েকটি ইতিবাচক ঐকমত্যে পৌঁছায়নি, বরং দ্বিপাক্ষিক শুল্কের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে এবং একে অপরের উদ্বেগের বিষয়ে যোগাযোগ বজায় রাখতে একটি বাণিজ্যিক পরামর্শ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে। ঐকমত্য অর্জন, ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা- এই তিনটি প্রধান ফলাফল এ আলোচনায় অর্জিত ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ চিত্রিত করে।

চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইডং সিএমজি সম্পাদকীয়কে বলেন যে, এবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যে ধাপে ধাপে ফলাফল অর্জন করেছে, তা কঠিনভাবে অর্জিত হয়েছে। এটি প্রতিফলিত করে যে উভয় পক্ষেরই একটি বস্তুনিষ্ঠ বোঝাপড়া রয়েছে যে, চীনা ও মার্কিন অর্থনীতি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং এগুলি বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এটি আরও ব্যাপক বিষয়ে ভবিষ্যতের সমন্বয় এবং সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করে। চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং সিয়াও সং বিশ্বাস করেন যে, আলোচনার ফলাফল চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাদের পার্থক্য দূর করতে এবং সহযোগিতা আরও গভীর করার ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

গত এপ্রিল মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র বারবার তার শুল্কব্যবস্থা বাড়িয়েছে, যা মার্কিন সরকারকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে ফেলেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক সমাজের অনেকেই সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি শুল্কনীতি পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে মার্কিন অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে এবং এ বছর মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, বেশিরভাগ মার্কিন বন্দরে রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন অর্থনীতির ৭০ শতাংশেরও বেশি অবদানকারী পরিষেবা খাতও এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: এসএন্ডপি গ্লোবালের তথ্য অনুসারে, এপ্রিল মাসে মার্কিন পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর অবস্থায় নেমে এসেছে। বর্তমান মার্কিন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে সমর্থনের রেটিং সম্পর্কে বলতে গেলে, গত ৮০ বছরের মধ্যে একই সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড স্থাপন করেছে।


অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রয়টার্স উল্লেখ করেছে যে, মার্কিন শুল্ক নীতি সত্ত্বেও, এপ্রিল মাসে চীনের রপ্তানি প্রায় দ্বি-অঙ্কের প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে।

চীন-মার্কিন জেনিভা আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনার ফলাফল স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উভয় পক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনাকারী যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিকতা ও পদক্ষেপ দেখাতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, কিছু বিদেশি সংবাদমাধ্যম স্পষ্টভাবে বলেছে যে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হল মার্কিন নীতির অনিশ্চয়তা। যদি আমেরিকা চীনের অধিকার ও স্বার্থ লঙ্ঘনে চাপ দেয়, তাহলে চীন দৃঢ়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা করবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। সূত্র :
জিনিয়া-তৌহিদ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।