NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

‘বিআরআই’র মূল নীতি হল পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল ’: সিএমজি'র সাক্ষাৎকারে পেত্রো


আন্তর্জাতিক : প্রকাশিত:  ১৮ মে, ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

‘বিআরআই’র মূল নীতি হল পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল ’: সিএমজি'র সাক্ষাৎকারে পেত্রো

সম্প্রতি কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো চীন-ল্যাটিন আমেরিকা ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেন। ঐ সময় তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি'কে সাক্ষাৎকার দেন।

গত বিশ বছরে বহুবার চীন সফর করেছেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। তিনি মনে করেন যে, ‘চীনের অনুশীলন মানব সমাজের উন্নয়নের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করেছে’; কলম্বিয়া উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) পরিবারে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ‘বিআরআই’র মূল নীতি হল পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল।’

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যারা চীন ভ্রমণ করেছেন, তারা চীনের উৎপাদনশীলতার অসাধারণ উন্নয়ন দেখতে পাবেন, যা সত্যিকার অর্থে এক উল্লম্ফ অগ্রগতি এনেছে। চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে, যা চীনের অসামান্য অবদানের সাথে অবিচ্ছেদ্য। বর্তমান বিশ্বের প্রযুক্তিগত সীমান্তে, চীন ইতোমধ্যেই একটি স্থান দখল করে নিয়েছে। চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পরিষ্কার শক্তিকে একত্রিত করতে সক্ষম, যা ভবিষ্যতের বিশ্ব অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে আমরা সম্ভাব্য একটি সম্পূর্ণ নতুন সামাজিক রূপে প্রবেশ করবো।

সাক্ষাৎকারে পেত্রো বলেন, আমি যেমন বলেছি, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করার দিন শেষ হয়ে গেছে, এবং কলম্বিয়াকে অবশ্যই বাইরের বিশ্বের দিকে তাকাতে হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকাচ্ছি না, বরং আমরা দক্ষিণ দিকে আমেরিকা মহাদেশের ওপারে তাকাচ্ছি এবং পূর্ব ও পশ্চিমের দিকে আমাদের দিগন্ত উন্মুক্ত করছি, যার অর্থ কলম্বিয়া বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।

আরো ব্যাপক সংলাপ ও সহযোগিতার অন্বেষণ করা হলো কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোর এবার সফরের অন্যতম মূল দাবি।
১৪ মে সকালে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ের মহা-গণভবনে পেত্রোর সাথে সাক্ষাৎ করেন। দুই দেশ ‘সিল্ক রোড অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক সিল্ক রোড নির্মাণের যৌথ প্রচারণায় সহযোগিতা পরিকল্পনা’ স্বাক্ষর করেছে এবং কলম্বিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিআরআই’র উচ্চমানের যৌথ নির্মাণের বৃহৎ পরিবারে যোগ দিয়েছে।

চলতি বছর চীন ও কলম্বিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পেত্রো বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে, কলম্বিয়া সর্বদা চীনের সাথে দৃঢ়ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। 

আজ আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করছি, এটিকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছি এবং একটি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। কলম্বিয়ার জন্য, বর্তমান সহযোগিতা কেবল ‘কী পরিবহন করতে হবে’ এর পরিবর্তে ‘কী উৎপাদন করতে হবে’ এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত, এবং কেবল বস্তুগত পণ্যের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে উৎপাদনে যৌথ অংশগ্রহণ জড়িত হওয়া উচিত। আমাদের সুন্দর জীবনের জন্য প্রচুর অ-বস্তুগত উপাদানের প্রয়োজন, যা উভয়পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি বলে তিনি মনে করেন। 

সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।