NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৩৪তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা
Logo
logo

ভালবাসার একাল সেকাল : কাজী মশহুরুল হুদা


কাজী মশহুরুল হুদা প্রকাশিত:  ২১ মে, ২০২৫, ১১:৩১ এএম

ভালবাসার একাল সেকাল :  কাজী মশহুরুল হুদা

 

কিছু কথা। এ কোন কবিতা বা ছোট গল্প নয়। উপন্যাস বা রম্য রচনাও নয়। বাস্তবতার কথা, কোন অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি ঘটনা মাত্র। মানুষের জীবনেই ঘটে। যেমন : ভালবাসার মধুর সম্পর্ক মানুষের জীবনে হানিমুন স্টেজে সৃষ্টি হয়। যে স্তর অন্য জগতে বিচরণের মত। যেখানে অনুভূতি থাকে প্রবল। ন্যায় অন্যায়ের কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। এই স্তরে নির্মিত হয় ভালবাসার স্রোত। এ যেনো স্রোতহীন নদী। কেবলই ঝরণাধারা। কথা না বলে থাকার মুহুর্ত দেখা না পেলে ক্ষনিকের স্পর্শ বা যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে মন উতলা হয়ে ওঠে। ভালবাসার এই স্টেজ সকলেরই মাঝে অনুভূত হয়। ক্রমাগত সময়ের পট পরিবর্তন করে। ভালবাসা আরও গভীর ও গাঢ় হয়। সাত সমুদ্র বাঁধ ভেঙ্গে ফেলে। ভালবাসা কে কেন্দ্র করে প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। প্রাণের টান। বয় ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড থেকে সম্পর্কের ধাপ ক্রমাগত এগুতে থাকে।

কোন কোন ক্ষেত্রে বিরহের বেড়াজালে আটকে যায়। আবার কেউ প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলে। প্রতিকূলতার মাঝে চরম প্রত্যাশিত আশা আকাঙ্খা হল একান্ত নিজের করে একে অপরকে কাছে পাওয়া। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। কিন্তু এখানে যাত্রার শেষ হয়। শুরু হয় পরবর্তী স্তরের যাত্রা। কেন যেনো অতীত স্তরের সেই আবেগ স্রোতধারা, ঝরণায় প্রবাহ হারিয়ে যায়। সব কিছু পাওয়ার মাঝে সেই আবেগের ভালবাসা খুঁজে পায়া না দুজন দুজনের মাঝে। বাস্তবতার কঠিন সমুদ্রে নদীর মিষ্টি পানি নোনা হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও স্বাদ খুঁজে পায় না তারা। কঠিন বাস্তবতায় দুজন দুজনের মাঝে দূরত্বের জন্ম নেয়। আইনের বাধনে যদিও আবদ্ধ থাকে কিন্তু সেই মিষ্টি মধুর সম্পর্কের ভালবাসা থাকে না। তখন আর আগের মত একে অপরের কথা সহ্য করতে পারে না। হানিমুল স্টেজ হারিয়ে যায়। আগের মত টেলিফোনে কথা হয় না। কথা যেন বুলেটের মত। মুখ ফসকে বের হলে তা আর ভেতরে ফেরানো যায় না। ভালবাসার টান ঝগড়ার স্তরে পৌঁছে যায়। কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অহংকারি মন কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। একে অপরে ভাবতে থাকে এ আবার কোন সম্পর্ক?

কোথায় গেল সেই হানিমুন স্টেজ? ফেরাতে পারে না আর। কথা ভাইবারে অথবা ফেসবুকের ইনবক্সে বন্দী থাকে। সেখানেও লেখার সীমাবদ্ধতা। কেন এমন হলো?

কেন ভালবাসা আজ তিতো?

কপূরের মত ভালবাসা কেনো উবে যায়?

এ প্রশ্নগুলো কেউ একজন ভাবে। একজন আরেকজনকে সেই অন্তদৃষ্টি দিয়ে দেখতে পায় না কারণ জীবন এত কাছে অবস্থান করলে, সকল অনুভূতির অপমৃত্যু ঘটে। কেউ কেউ ভালবাসার প্রথমাবস্থায় ফিরে যেতে চায়। কিন্তু এতটা বন্ধুর পথ অতিক্রম করার পর হাপিয়ে ওঠে মানুষ। ভয় পায় সামনে এগুতে। খুঁজে পেতে চায় হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলো। কিন্তু হায় পথ হারা পাখি পথের ঠিকানা আর খুঁজে পায় না।