নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক সফররত সিলেটের বিয়ানীবাজারের সন্তান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ শফি-কে সংবর্ধিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীগণ। এ উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় (৯ জুন) ওজনপার্কের একটি পার্টি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহŸায়ক মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য আজিমুর রহমান বুরহান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আবাদুল মান্নান ও সাবেক সভাপতি মস্তফা কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদুল ইসলাম এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের সহ আরো অনেকে। খবর ইউএনএ’র। মওলানা রশীদ আহমেদের কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া মুনাজাতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সারোয়ার হোসেন। এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বিয়ানীবাজার সমিতি ইউএসএ’র উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম অপু, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কদ্দুস টিটু, সেবুল আহমেদ, হেলাল, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট ফকর উদ্দিন, লুৎফর রহমান, সাব্বির আহমেদ, ইফজাল আহমেদ, নূরুল তালুকদার, নূরুল আম্বীয়া, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর নূর প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি মুস্তাফিজ শফি-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো ছাড়াও আয়োজক কমিটি ও এসএসসি ৮৭ ব্যাচ নিউইয়র্কের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রশীদ আহমদ তার লেখা দুটি বই উপহার দেন।  অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পেশা সহ সকল পেশা আর সেক্টর আজ দুর্নীতিগ্রস্ত। সমাজে ভালো মানুষের অভাব। তারপরও দেশের কিছু কিছু মানুষ শত বাধা-বিপত্তি আর লোভ-ললসার উর্ধ্বে উঠে স্ব স্ব অবস্থানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে ধরে রেখেছেন। লেখক-সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি তাদেরই একজন। বক্তারা সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফিকে একজন সৎ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি শুধু বিয়ানীবাজার বা বৃহত্তর সিলেট নয়, তিনি গোটা বাংলাদেশের কৃতি সন্তান। তিনি বিয়ানীবাজারের নিভৃত পল্লীগ্রাম থেকে উঠে এসে ঢাকা তথা জাতীয় পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বক্তারা তার আরো অগ্রগতি, দীর্ঘায়ু ও উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করেন। লেখক-সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি তার বক্তব্যে তাঁকে সম্মানিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিয়ানীবাজার আমার নাড়ীর টান। সেই বিয়ানীবাজার খুঁজে পেয়েছি নিউইয়র্কে। যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করার সময়ও বিয়ানীবাজার খুুঁজে পাই লন্ডনে। যা ঢাকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, লেখা-লেখি আর সাংবাদিকতা আমার নেশা-পেশা। বলেন, লেখা-লেখির মাধ্যমে আমি আমার পূর্বসূরীদের লেগ্যাসি বহন করে চলেছি মাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার প্রশ্নে কোন আপোষ নয়। মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা নিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।