চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং  মঙ্গলবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন: চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের “আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত কনভেনশন” স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মুখপাত্র কি সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা এবং চীনের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পেছনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে পারবেন?

মাও নিং বলেন, ২০২২ সালে চীন প্রায় ২০টি সমমনা দেশের সাথে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে “আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত কনভেনশন” আলোচনা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তর চীনের হংকংয়ে স্থাপনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের প্রায় ৬০টি দেশ এবং জাতিসংঘসহ ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ৩০ মে অনুষ্ঠিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাবে। একই দিন বিকেলে ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ফোরাম’ আয়োজন করা হবে, যেখানে ‘রাষ্ট্রীয় বিরোধ মধ্যস্থতা’ এবং ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক বিরোধ মধ্যস্থতা’ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

মধ্যস্থতা জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত বিরোধ নিষ্পত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা ‘সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দেয়’ এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ইচ্ছাকে পুরোপুরি সম্মান করে। এটি আরও নমনীয়, সাশ্রয়ী, সুবিধাজনক এবং বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ার মতো অনন্য সুবিধা প্রদান করে, যা প্রাচ্যের সম্প্রীতির ঐতিহ্যও প্রতিফলিত করে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে এবং এটি বিশ্বের প্রথম সরকারের মধ্যে আইনি সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক বিরোধ মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধান করবে, যা জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও নীতিগুলো রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউট দেশগুলোর শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায় এবং সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির যুগের প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি বিভিন্ন আইন পদ্ধতির সুবিধাকে একত্রিত করে এবং বৈশ্বিক আইনি শাসনকে আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আমরা আরও দেশকে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন ও এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার সাথে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক বিরোধের দক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আরও বিকল্প ও পথ প্রদানের আহ্বান জানাই, যাতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আরও ভালোভাবে রক্ষা করা যায়।
সূত্র: স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।